রাউজানে কৃষিজমি ভরাটে সবদিক থেকে বাঁধা আছে-কিন্তু বন্ধ নেই কোনো এলাকায়

Pioneer

রাউজান নিউজ ডেক্স ঃ

রাউজানে আবাদযোগ্য জমি খনন, ভরাট করে অবকাঠামো নির্মাণে প্রশাসনিক ভাবে নিষেধ আছে। একাজে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার কঠোর হুঁসিয়ারী আছে স্থানীয় এমপির পক্ষ থেকে।
প্রশাসনের নিষেধজ্ঞা, এমপি’র হুঁসিয়ারীর মধ্যে কোনো ইউনিয়নে বন্ধ নেই কৃষি জমি ভরাট কাজ। রাতের আঁধারে প্রতি নিয়ত চলছে জমিতে মাটি ভরাট।
স্থানীয় জনসাধারণের অভিযোগ আছে প্রভাবশালীরা এখন খাল নালা ও দখল করে বর্ষার পানি প্রবাহে পথ বন্ধ করে দিচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার বিভিন্নস্থান পরিদর্শন করে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে স্থানীয় এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী কৃষি জমি ভরাট ও খাল নালা দখলকারীদের বিরুদ্ধে জনপ্রতিনিধিদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলে আসছেন প্রতিটি সভা সমাবেশে।

স্থানীয় প্রশাসনকে দায়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নিদেশ দিয়ে রেখেছেন। তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এই নিয়ে নজরদারি করে প্রশাসনকে অবহিত করার নিদেশ দিয়েছেন। অভিযোগ আছে বিষয়টি দেখতে যাদেও উপর তিনি দায়িত্ব দিয়েছেন তাদের রহস্যজনক নিরবতায় স্থানীয় প্রভাবশালীরা কৃষি জমি ও খাল নালা দখল করে ভরাট করেই যাচ্ছে রাতে আঁধারে ট্রাকে ট্রাকে মাটি এনে।
সম্প্রতি উপজেলা প্রায় প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার বিভিন্নস্থান ঘুরে দেখা যায় আবাদযোগ্য জমি ভরাট ও খাল নালা ভরাটের দৃশ্য। দেখা গেছে পৌরসদরের বর্ষার পানি নিষ্কাশনের তিনটি খালের মধ্যে দুটিই ভরাট হয়ে আছে। ভরাট হয়ে থাকা কাশখালী খালের বিভিন্ন অংশ স্থানীয় প্রভাবশালীরা ইটের গাঁথুনীতে প্লট বানিয়ে দখল করে রেখেছে। পরিদর্শনে দেখা যায় রাউজান থানা রোডে ফকিরহাটের সাথে থাকা ভরাট হয়ে যাওয়া পুরানো কাশখালী খালটি এখন প্রভাবশালীরা খন্ড খন্ড ভাবে দখল করে নিয়েছে। অবশিষ্ট রেখেছে খালের উপর থাকা ব্রিজটির নিচের অংশটুকু।

 

পৌর এলাকার বাসিন্দা মনছুর হাসান অভিযোগ করেছেন খালের জায়গায় প্লাট বানিয়ে রাখায় এখন এই পথে বর্ষার পানি নামতে পাচ্ছে না। প্রতি বর্ষায় পৌরসদরের বিভিন্ন গ্রাম ডুবিয়ে পাহাড় থেকে নেমে আসে তীব্র ¯্রােত হয়ে। খালটি দখল হয়ে যাওয়া এখন এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বাজার ফকিরহাটসহ রাউজান থানা চত্তরকে ডুবিয়ে দেয়। সৃষ্টি হয় বন্যা পরিস্থিতি। তার অভিযোগ রাউজান পৌরসদরের বিভিন্ন স্থানে কৃষি জমি ও পানি নিষ্কাশনের পথে মাটি ফেলে ভরাট ও অপরিকল্পিত ভাবে অবকাঠামো নির্মাণের ফলে পাহাড় পানি নামতে পাচ্ছে না। তিনি বিয়ষটি অভিযোগ আকারে জানিয়ে প্রতিকার চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছেন।

 

এ বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন পৌরসদরে বর্ষার পানি নিষ্কাশনের তিনটি পথ রয়েছে। কাশখালীর পুরানো খালটি বহু বছর থেকে ভরাট হয়ে আছে। অপর দুটি খাল একাধিকবার খনন করে দেয়া হয়েছে। এখন দুটি খালে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। তবে ভরাট হয়ে যাওয়া পুরানো কাশখালী খালটি কারা কিভাবে দখল করে আছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন। কৃষ্ িজমিতে মাটি ভরাট করে অবকাঠামো নির্মাণের দৃশ্য দেখা গেছে উপজেলার পূর্বগুজরা,বিনাজুরী,নোয়াপাড়া,পাহাড়তলী, কদলপুর, ডাবুয়া, হলদিয়া,চিকদাইর, নোয়াজিশপুরসহ প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে। স্থানীয়দের অভিযোগ মাটি ভরাট কাজের ব্যবহৃত ট্রাকের চাপায় গ্রামীণ যোগাযোগ অবকাঠামো ধসে দিচ্ছে। প্রশাসনের নিষেধ আর এমপি’র কঠোর হুসিয়ারীর মধ্যে কিভাবে কৃষিজমি ভরাট কাজ চলছে এমন প্রশ্নের উত্তরে উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি রিদোয়ানুল ইসলাম বলেন আমরা যেখানে এমন তৎপরতার খবর পাচ্ছি সেখানে অভিযান চালিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি। ভরাট কাজ বন্ধ করে দায়িদের অর্থদন্ড দিচ্ছি।

AL Sheraz