হলদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে আবাদী জমিতে মাটি ভরাটের মহোৎসব

Pioneer

রাউজান নিউজ ডেক্স.

রাউজানে আবাদযোগ্য জমি খনন, ভরাট করে অবকাঠামো নির্মাণে প্রশাসনিক ভাবে নিষেধ আছে। একাজে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার কঠোর হুঁসিয়ারী আছে স্থানীয় এমপির পক্ষ থেকে।
প্রশাসনের নিষেধজ্ঞা, এমপি’র হুঁসিয়ারী উপেক্ষা করে হলদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ইউনিয়নে চলেছে কৃষি জমি ভরাট কাজ। এসব কাজ করা হয়েছে রাতের আঁধারে জমিতে মাটি ফেলে।
১৪ মে সরেজমিনে পরিদর্শনের সময় কথা হয় এলাকার মানুষের সাথে।

 

 

তারা বলেছেন যেসব এলাকায় ভরাট কাজ হয়েছে ওসব এলাকা দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষের চলাচল থাকে, যাওয়া আসা করে স্থানীয় চৌকিদার,মেম্বারগণও। ভরাট করার সময় কেন তারা দেখল না সেটিই বড় প্রশ্ন। দেখা যায় এই ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডে ভরাট করা হয়েছে কৃষি জমি। দেখা গেছে ধান ক্ষেতের উপর মাটি চাপা দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্র। কেউ কেউ ভরাট করা কৃষি জমি আড়াল করতে ভরাট জায়গায় রোপন করে রেখেছে কলা গাছসহ নানা ধরণের চারা।

 

 

 

জানা যায় স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা কৃষি জমির ভরাট করা নিয়ে প্রশ্ন উঠালেই তৎপর হয়ে উঠে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। প্রশাসনের নিষেধ ও সংসদ সদস্যের হুঁসিয়ারীর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে জনপ্রতিধিদের জানতে চাইলে জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে জবাব আসে ভরাট কাজের প্রমান পাওয়া মাত্র তারা কাজ বন্ধ করে দিচ্ছেন।
স্থানীয়রা বলেছেন রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী পবিত্র ওমরা পালনে এখন সৌদি আরব রয়েছে। তার অনুস্থিতির সুযোগ নিয়ে অনেকেই কৃষি জমি ভরাট করার সুযোগ নিয়েছে। হলদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায় কৃষিজমি ভরাট করা হয়েছে উত্তর সর্তা দরগাহ বাজারের দক্ষিণ পাশে, সেখানে থাকা যাত্রী ছাউনির পশ্চিম পাশে, দুর্গা চরণ সড়কে পেটান তালুকদারের বাড়ির পাশে,আলী হোসেন সড়ক পাশে, মোহাম্মদ আলী মেম্বারের বাড়ি পাশে।

 

 

কৃষি জমি ভরাট নিয়ে জানতে চাইলে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম বলেন এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি কৃষি জমি ভরাটের বিরুদ্ধে খুবই কঠোর। যারা কৃষি জমি ভরাট করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের তিনি নিদেশ দিয়ে রেখেছেন। তার ইউনিয়নের যারা কৃষি জমিতে মাটি ফেলেছে তাদের ভরাট কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রশাসন ও সংসদ সদস্যের হুঁসিয়ারীর পর মাটি ফেলার শুরুতে কেন বাঁধা দেয়া হয়না এমন প্রশ্নের উত্তরে চেয়ারম্যান বলেন বিলম্বে খবর পাওয়ার কারণে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া যায় না। পরিদর্শনের সময় দেখা যায়
হলদিয়া ইউনিয়নের মত আরো অন্যান্য ইউনিয়নেও কম বেশি কৃষি জমি ভরাট করা হয়েছে।

 

AL Sheraz