কামরুল ইসলাম বাবু :
গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের পথে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি আরো বলেন- ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতায়, মানুষের চিন্তা, বিবেক এবং মতের স্বাধীনতায় কোনো হস্তক্ষেপ করা যাবে না। পত্রিকার সমালোচনা করুন, সেই অধিকার সবার আছে। কিন্তু কোনো পত্রিকা অফিসে হামলা বা এ ধরনের কাজ করা আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের জন্য এমন পরিস্থিতি তৈরি করছে যে এ দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। এটি আমাদের জন্য ভালো হবে না।’
২৯ নভেম্বর রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে চট্টগ্রামের সিআরবি শিরিষ তলায় গণসংলাপে এ সব কথা বলেন জোনায়েদ সাকি। জেলা সমন্বয়কারি হাসান মারুফ রুমীর সভাপতিত্বে নাসিরুদ্দিন তালুকদারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জননেতা জোনায়েদ সাকি।
প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি বলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আবু সাঈদের আত্মদানের মধ্য দিয়ে ফ্যসিস্ট হাসিনার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার যে ঐক্যবদ্ধতা গড়ে উঠেছে, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার যে আকাঙ্খা তৈরি হয়েছে আজকে সময় এসেছে সেই আকাঙ্খাকে ঐক্যবদ্ধভাবে বাস্তবতায়ন করা। নানান দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে, ইসকনকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে একজন আইনজীবীকে হত্যা করে একটি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা তৈরি করে গণ-অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করার চক্রান্তকে চট্টগ্রামবাসি যেভাবে নস্যাৎ করে দিয়েছে, একইভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে পুনর্গঠনের জন্য তিনি জনতার প্রতি আহ্বান জানান।
সংলাপে বক্তব্য রাখেন ফেনি জেলা গণসংহতির সমন্বয়ক এডভোকেট কায়কোবাদ, চট্টগ্রাম জেলা যুগ্ম সমন্বয়কারী মোঃ হারুন, মীরেরসরাই আহ্বায়ক শাম্মাসুদ্দীন মোহাম্মদ, সন্দ্বীপের সাংগঠনিক সচিব নাজিম উদ্দীন আরিফ , বি এম ডিপোর আহত শ্রমিক নূর হোসেন, শিক্ষক প্রতিনিধি রিদোয়ান ফরহাদ, ছাত্রনেতা শওকত ওসমান তৌকির ও ওবায়দুল্লাহ, এম্পাওয়ারিং আওয়ার হিরোজ এর কলি কায়েয, গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির নেতা রয়েন মারমা ও মোঃ সোহাগ প্রমুখ।