মীর আসলাম. (রাউজান নিউজ) :
চুয়েট (চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়)-এর অফিসার্স এসোসিয়েশন নিজেদের দাবি আদায়ের কর্মসূচি পালন নিয়ে ব্যস্ত। অপর দিকে কর্মকর্তাদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে সৃষ্ট জটিলতায় আটকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখন পড়েছে নানামুখি সমস্যায়।
শিক্ষার্থীরা বলেছেন এসোসিয়শেনের কর্মবিরতির ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দাপ্তরিক ও একাডেমিক কার্যক্রম। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়ে পড়ায় সেশনজটের আশংকা রয়েছে, একাডেমিক সকল কার্যক্রম শেষ করা শিক্ষার্থীরা সনদ পেতে দেরি হওয়ায় তারা চাকরি বা উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করতে পারছেন না । “কর্মবিরতির কারণে ১১ জুলাই তারিখ ফাইনাল রেজাল্ট দিবে কিনা তাও জানা যাচ্ছে না। তাছাড়া সৃষ্ট সমস্যার কারণে হোস্টেলে অবস্থানকারীদের শিক্ষার্থীরা নিজেদের ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় বাইরে গিয়ে তুলনামূলক নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার খেতে হচ্ছে।
জানা যায় সমন্বিত ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠিতব্য ২০২৩-২৪ সেশনের নতুন শিক্ষার্থীদের শেষ ধাপের ভর্তি কার্যক্রম ৩-৪ জুলাই হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ১৪-১৫ জুলাই নেয়া হয়েছে। এই সময় সূচি ঠিক থাকবে কিনা তাও বলা যাচ্ছে না।
এদিকে চুয়েট অফিসার্স এসোসিয়েশনের উদ্যোগে গতকালও সর্বজনীন পেনশন বিধিমালা-২০২৩ এর ‘প্রত্যয়’ স্কিম থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার এবং ইউজিসি কর্তৃক সুপারিশকৃত ‘কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরাসরি নিয়োগ, পদোন্নতি/পদোন্নয়ন সংক্রান্ত অভিন্ন নীতিমালা’ বাতিলের দাবিতে টানা ৮ম দিনের মতো পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল প্রাঙ্গণে তারা এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। উক্ত কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের প্রধান উপদেষ্টা ও চুয়েট অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ ইকরাম। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. মকবুল হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জনাব মো. নূর নেওয়াজ। তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষনা দেন।
প্রধান সম্পাদকঃ মীর আসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশকঃ কামরুল ইসলাম বাবু, নির্বাহী সম্পাদকঃ মোঃ ওসমান গনি