

ছামিদর খোয়াং জামে মসজিদের খতীব মাওলানা মোঃ রেজাউল করিম আল-কাদেরীর বিদায় উপলক্ষে এক হৃদয়ছোঁয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ ২৫ বছর নিষ্ঠা, দক্ষতা ও একাগ্রতার সাথে তিনি এ মসজিদে ধর্মীয় খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তার বিদায় উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানটি পরিণত হয় এক আবেগঘন সম্মিলনে, যেখানে এলাকাবাসী, মসজিদ কমিটি, গাউসিয়া কমিটি এবং যুব সমাজ একত্রিত হয়ে সম্মান জানায় খতীব মাওলানা মোঃ রেজাউল করিম আল-কাদেরীর প্রতি।
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে, যা পরিবেশন করেন মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মনজুরুল ইসলাম। এরপর শুরু হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নুরুল আজিম মজুমদার, এবং উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা প্রদান করেন মুহাম্মদ আজম মজুমদার, মুহাম্মদ রফিক, মুহাম্মদ জাহাঙ্গির মজুমদার, মুহাম্মদ নাসির তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ শাহেদ মজুমদার, মুহাম্মদ শহীদ মজুমদারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। বক্তারা তাদের বক্তব্যে আল্লামা রেজাউল করিম আল-কাদেরীর দীর্ঘ কর্মজীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং তার অবদানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানের সবচেয়ে আবেগঘন মুহূর্ত ছিল খতীব সাহেবের বিদায়ী বক্তব্য। তিনি তার দীর্ঘদিনের খেদমতকালে প্রাপ্ত ভালোবাসা ও সহযোগিতার জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং এলাকাবাসীর দোয়া কামনা করেন। তার বক্তব্য উপস্থিত সবার হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
মসজিদ কমিটি, গাউসিয়া কমিটি এবং এলাকার যুব সমাজের পক্ষ থেকে খতীব সাহেবকে পুষ্পমাল্য ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। খতীব সাহেবের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শনের এ আয়োজন ছিল অত্যন্ত সুসংগঠিত ও অনুপ্রেরণাদায়ক।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে অনুষ্ঠিত হয় মিলাদ শরীফ, কিয়াম, কবর জিয়ারত এবং আখেরি মুনাজাত। আধ্যাত্মিক এ পরিবেশে সবার মুখে ছিল দোয়ার ধ্বনি ও হৃদয়ের গভীর ভালোবাসা। অনুষ্ঠান শেষে এলাকাবাসী হুজুরকে গাড়িতে তুলে দেন এবং তাকে আন্তরিক বিদায় জানান।
এই বিদায় সংবর্ধনা শুধুমাত্র একটি আনুষ্ঠানিকতা ছিল না, এটি ছিল একজন আলেমে দ্বীনের প্রতি পুরো এলাকার পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার এক উজ্জ্বল নিদর্শন। খতীব আল্লামা রেজাউল করিম আল-কাদেরী সাহেবের অবদান ছামিদর খোয়াংয়ের ধর্মপ্রাণ মানুষের হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
