প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ১২, ২০২৫, ৬:০৪ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ১১, ২০২৫, ৯:৪৬ অপরাহ্ণ
রাউজানের ছেলে ইমরান উদ্দিন সিদ্দিকী নেপালের চুলু ফার ইস্ট পর্বতের চূড়ায়

রাউজান নিউজ ডেক্স :
রাউজানের ছেলে পর্বতারোহী ইমরান উদ্দিন সিদ্দিকী নেপালের ১৯ হাজার ৮৮০ ফুট (৬ হাজার ৫৯ মিটার) উচ্চতার চুলু ফার ইস্ট পর্বতের চূড়া আরোহণ করেছেন । গত ৯ নভেম্বর নেপালের স্থানীয় সময় সকাল আটটায় অন্নপূর্ণা রিজিয়নের এই পর্বতে লাল-সবুজ পতাকা হাতে দাঁড়ান তিনি।
পর্বতারোহণ ক্লাব ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স আয়োজিত এই অভিযানে ইমরানের সঙ্গী হিসেবে ছিলেন জুনায়েদ সাইফ রুম্মান। ৯ তারিখ রাত ২টার দিকে ইমরান ও সাইফ চূড়ার উদ্দেশে আরোহণ শুরু করেন ৫ হাজার ৩০০ মিটার উচ্চতার হাই ক্যাম্প থেকে। তবে আগের সপ্তাহে নেপালের পাহাড়জুড়ে হওয়া প্রচুর তুষারপাতের কারণে চূড়া অভিমুখী আরোহণ হয়ে পড়ে বেশ কঠিন।
জানাযায় চুলু ফার ইস্ট পর্বত ইমরানের দ্বিতীয় ছয় হাজার মিটার বা তার অধিক উচ্চতার অভিযান। গত বছর তিনি ৬ হাজার ৪৬১ মিটার উচ্চতার মেরা সেন্ট্রাল পর্বতের চূড়া ছুঁয়েছিলেন। আর চুলু ফার ইস্ট সাইফের প্রথম ছয় হাজার মিটার উচ্চতার অভিযান। অভিযানের বাকি আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুই পর্বতারোহী দেশে ফিরবেন আগামী ১৪ নভেম্বর।
রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের এয়াছিন্নগর মরহুম শহীদ ইদ্রিছ মিয়া মাস্টারের ছোট ভাই ব্যাংকার মরহুম ফিরোজ মিয়ার বড় সন্তান ইমরান উদ্দিন সিদ্দিকী । সে ছোট বেলা থেকে স্বপ্ন দেখতেন পর্বত আরোহনের।ব র্তমানে সে একজন সফল ব্যবসায়ীও হন। তার এ প্রাপ্তিতে পরিবারে চলছে খুশির জোয়ার। তার আপন চাচা হযরত এয়াছিন শাহ পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফরিদ মিয়া সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে জানান আমার ভাতিজা নেপালে যাওয়ার পর হতে আমরা নিশ্চিত ছিলাম আল্লাহর রহমতে সে ভাল একটি সুখবর শুনাবে আমাদের। যা সত্য হল। আমরা আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি।
তার আপন ভাই বিশিষ্ট তরুণ লেখক প্রাবান্ধিক রায়হান উদ্দিন সিদ্দিকী বলেন ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে বাবা মারা যান। আজ যদি বাবা বেঁচে থাকতেন অনেক অনেক খুশি হতেন। মা আজ অনেক খুশি। তার এ প্রাপ্তিতে বিষণ খুশি আমাদের পরিবার সহ স্বজনরা। তার এ সাফল্যে সমগ্র এলাকার মানুষ আনন্দে আত্মহারা।
৬ হাজার ৫৯ মিটার বা ১৯ হাজার ৮৮০ ফুট উচ্চতার চুলু ফার ইস্ট আরোহণের উদ্দেশ্যে গত ৩১ অক্টোবর নেপালের উদ্দেশ্যে রওনা হন দুই পর্বতারোহী ইমরান ও সাইফ। কাঠমান্ডুতে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে তারা রওনা হন বেসিশহরের উদ্দেশে। সেখান থেকে নাওয়াল নামক গ্রাম, যেখান থেকেই ট্রেক পথের শুরু। দুদিন ট্রেক করে এই দুই পর্বতারোহী পৌঁছান বেসক্যাম্পে।
সেখান থেকে ধীরে ধীরে হাই ক্যাম্প পেরিয়ে তারা এগিয়ে যান চূড়ার পথে। উল্লেখ্য, এই পর্বতে এটি ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স ক্লাবের দ্বিতীয় অভিযান। ২০২৩ সালে এই পর্বতে ক্লাবটির প্রথম অভিযানে শিখর স্পর্শ করেছিলেন পর্বতারোহী বাবর আলী।
প্রধান সম্পাদকঃ মীর আসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশকঃ কামরুল ইসলাম বাবু, নির্বাহী সম্পাদকঃ মোঃ ওসমান গনি
Copyright © 2024 All rights reserved Raozan News