রাউজান নিউজ ডেক্স ঃ
মদ গাঁজা বিক্রির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ করায় রাউজানের নোয়াপাড়ার দুই সহোদর মোহাম্মদ পারভেজ রণি ও সাগর দুই তাদেরকে গুলি ও রগ কেটে দিয়ে পঙ্গুকরে দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগকারী দুজন যুব দল কর্মী। বিএনপি নেতা গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে নগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে চাচাতো-জেটাতো ভাই হুইল চেয়ার ও কৃত্রিম পায়ে ভর করে সাংবাদ সম্মেলনে আসে। গুলিতে আহত রণি সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন তারা দুই ভাই গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে নোয়াপাড়া পথেরহাটে মদ, গাঁজা বিক্রেতা কামালের বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার ছিলেন। বিগত সময়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে কামালের সক্রিয়তার কথা জানিয়ে তারা বলেন এই মাদক বিক্রেতা এখন রাজনীতির খোলস পাল্টে বিএনপি’র এক নেতার আশ্রয় প্রশ্রয়ে রাতারাতি বিএনপি নেতা সেজে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তার মাদক সাম্রজ্য ঠিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন ধরণের চালছাতুরীর আশ্রয় নিয়ে ফেইজবুকে লাইভে এসে নানা ধরণের বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছেন।
গত এক মাস আগের ঘটনার কথা জানিয়ে বলেন তারা মাদকের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করতে গেলে কামাল ফোনে তাকে সাথে দেখা করতে বলে। তার ফোনে আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় এলে কামালসহ সন্ত্রাসীরা আমাকে ধরে নিয়ে হাতে ও বাহুতে গুলি করে। এসময় আমার চাচাতো ভাই সাগর আমার সাহার্য্যে এগিয়ে এলে তাকেও ধরে নিয়ে মির্মমভাবে মারধর কওে। পরে পায়ের রগ কেটে দেয়। জানান দীর্ঘ সময় ধরে তারা চিকিৎসা নিয়েও এখন পঙ্গুত্বের দিকে যাচ্ছেন।
পুলিশের বিরুদ্ধে তারা অভিযোগ করেন বলেন গুলি, রগকাটার ঘটনায় ওই সময় মাদক ব্যবসায় কামালসহ তার সাথে থাকা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। উল্টো মামলার আসামীদের সাথে নিয়ে তাদের বাড়ি গিয়ে মামলা প্রত্যহার করে নিতে তার পরিবারকে চাপ দিচ্ছে। নানা ধরণের হয়রানী করছে। সংবাদ সম্মেলনে এবিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ,পুলিশের আইজি’র প্রতি সুবিচার প্রর্থনা করে মাদক ব্যবসায়ী কামালসহ আসামী এলাকার চিহ্নীত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দাবি করেছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পঙ্গুত্ব করণকারী দুজনের পিতা,মাতাসহ আত্মীয় স্বজনরা।