
রাউজানে আগুনে পুড়ল পাঁচটি পৃথক দোকান, ক্ষতি প্রায় ২০ লাখ টাকাঃ চট্টগ্রামের রাউজানে গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫টি দোকান ও একটি ভ্যানগাড়ি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (রাত ১টার দিকে) উপজেলার নোয়াপাড়া চৌধুরীহাটের পৃথক পৃথক স্থানে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। তবে ঘটনাটি নিছক দুর্ঘটনা নয় বরং ‘পরিকল্পিত নাশকতা’ বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগুনের লেলিহান শিখায় চৌধুরীহাটের দক্ষিণ পার্শ্বস্থ ওবায়দুলের ফার্নিচারের দোকান ও সৌরভের কাঠের দোকান, বাজারের মধ্যবর্তী ইলিয়াসের মুদির দোকান ও আবদুল মজিদের খাবারের হোটেল এবং চৌধুরী ঘাটকুল রোডে আল আমিন মসজিদের সামনে মোহাম্মদ জাহেদের মুদির দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
রাউজানের আরো খবরঃ রাউজানে বাইক ও সাইকেলের সংঘর্ষে আহত যুবকের মৃত্যু
আগুনে ৫টি প্রতিষ্ঠানের ঘর, আসবাবপত্র, কাঠের মজুদ, মুদি সামগ্রী এবং নগদ টাকাসহ সর্বস্ব পুড়ে গেছে। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে বাজারের মাছ বিক্রেতা মুহাম্মদ শফির উপার্জনের একমাত্র সম্বল ভ্যানগাড়িটিও পুড়ে গেছে। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ টাকা।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের অনেকেই এই অগ্নিকাণ্ডকে পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন। ফার্নিচার দোকানের মালিক ওবায়দুল বলেন,
এটি একটি পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড। দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে অগ্নিসংযোগ করেছে। আগুনে আমার প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬-৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই এবং আইনের আশ্রয় নেব।
ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করা কাঠের দোকানের মালিক সৌরভ বলেনঃ
কিস্তির টাকা দিয়ে কাঠের ব্যবসা শুরু করেছিলাম। এখন আমি সম্পূর্ণ নিঃস্ব হয়ে পড়লাম।
চৌধুরী ঘাটকুল রোডের মুদি দোকানি মোহাম্মদ জাহেদ বলেনঃ
কে বা কারা রাতের আঁধারে দোকানের পেছন দিক থেকে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে আমার দোকানের মালামালসহ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
খাবারের হোটেলের মালিক আবদুল মজিদ বলেন, চোখের সামনে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেল, কিছুই বাঁচাতে পারলাম না। অন্যদিকে, একমাত্র ভ্যানগাড়িটি হারিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন মাছ বিক্রেতা মুহাম্মদ শফি। আর্থিক সংকটের কারণে নতুন ভ্যান কেনার সামর্থ্যও তার নেই।
আরো খবরঃ রাউজানে প্রবাসী জসিম উদ্দিনের উদ্যোগে ৩০ কোটি ব্যয়ে আরো দুটি আরসিসি সড়কের ঢালাই শুরু

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে রাউজান ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন। স্টেশনের লিডার আদম আলী জানান, অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩টি দোকানের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে তিনি বলেনঃ
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।
তবে একই সময়ে বাজারের পৃথক স্থানে কীভাবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেনঃ
বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। তদন্ত ছাড়া সঠিক কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না।
প্রধান সম্পাদকঃ মীর আসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশকঃ কামরুল ইসলাম বাবু, নির্বাহী সম্পাদকঃ মোঃ ওসমান গনি