রাউজানে কর্ণফুলী নদী নোয়াপাড়া অংশে ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয়দের মানববন্ধন

Raozan IT

কামরুল ইসলাম বাবু :

রাউজানে কর্ণফুলী নদী নোয়াপাড়া অংশে ভাঙ্গনে হারিয়ে যাচ্ছে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ঝিকুটিপাড়া, মুকারদিঘী পাড়া, পলোয়ানপাড়া, সিকদারবাড়ীর বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থার দাবীতে স্থানীয় জনসাধারন মানববন্ধন করেছেন।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এ মানববন্ধন চলে বেলা ১২টা পর্যন্ত। রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের বাইন্নেঘাটা এলাকায় মানববন্ধনে দাবি আদায়ের স্লোগান সংবলিত নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে নিয়ে স্থানীয় এলাকার নারী-পুরুষসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশ নেন।রাউজানে নোয়াপাড়ায় কর্ণফুলী নদীর ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয়দের মানববন্ধন

সমাবেশে বক্তারা বলেন, কর্ণফুলী নদীর ভাঙ্গনে রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পলোয়ানপাড়া, সিকদারবাড়ী, ঝিকুটিপাড়া ও মুকারদিঘীপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি ইতোমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকের বাড়িঘর কয়েকবার নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে আরো শত শত বসতবাড়ি। এমতাবস্থায় টেকসই বেড়িবাধ নির্মাণ ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।
স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল করিম সিকদার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক লায়ন মোহাম্মদ জাহেদুল করিম বাপ্পী সিকদার বলেন, নদীর ভাঙ্গন রোধে সরকার দ্রুত টেকসই বেড়িবাধ নির্মাণ না করলে অচিরেই বিলিন হবে স্থানীয় এই সব এলাকা। বর্ষা মৌসুমে যখন পানি চাপ ছিলো তখন যেমন ভেঙেছে তেমনি শুষ্ক মৌসুমে এখন পানি নেমে যাওয়ার সময়ও ভাঙছে।স্থানীয় কৃষক বাদশা বলেন, নদী ভাঙনের কারণে এলাকার মানুষের পথে বসার অবস্থা হয়েছে। প্রতিরোধে উদ্যোগ না নিলে এদের নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন পথ থাকবে না। কৃষক আক্কাস বলেন, নদী ভাঙ্গনের কারণে আজ ১৫ বছর ধরে চাষাবাদ বন্ধ। ঝিকুটিপাড়া নিবাসী ডাক্তার কাঞ্চন বলেন এই এলাকা বাচাঁতে টেকসই বেড়িবাধের কোন বিকল্প নেই। বক্তব্য রাখেন ডাক্তার লক্ষণ,সেলিম সিকদার, কৃষক ইদ্রিস,কালু,আযিম,প্রবাসী জাহেদ,মন্নান,মানিক সিকদার, উজ্জল দাশ, আকবর,রূপণ দাশ,রুবেল দাশ স্থানীয় প্রমূখ।

AL Sheraz