কামরুল ইসলাম বাবু (রাউজান নিউজ) :
রাউজানে চারটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। একই সাথে একটি ইটভাটাকে পাহাড় কাটার দায়ে তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেলুয়া এলাকায়। এই অভিযান পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তার। তবে গুড়িয়ে দেওয়া ইটভাটার স্বত্ত্বাধিকারী এস এম শহিদুল্লাহ রনি বলেছেন, উচ্চ আদালত থেকে ইটভাটা পরিচালনার জন্য ছয় মাসের অনুমতি পাওয়ার পরও অভিযানে ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়ায় চার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এসময় সেনাবাহিনী, র্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সহযোগিতায় মেসার্স এম আর চৌধুরী ব্রীকস-১, ডি.এন.সি, এম আর চৌধুরী ব্রীকস -২ ও মেসার্স বেঙ্গল ব্রিকস কোম্পানী-২ নামের চারটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। জে.বি.আই নামে একটি ইটভাটাকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
মেলুয়া এলাকার এম আর চৌধুরী ব্রীকস-১ ও জঙ্গল রাউজান এলাকার এম আর চৌধুরী ব্রীকস-২ মালিক এস এম শহিদুল্লাহ রনি অভিযোগ করেন, আমি উচ্চ আদালত থেকে ইটভাটা পরিচালনার জন্য ছয় মাসের অনুমতি পেয়েছি। নিষেজ্ঞা থাকা সত্বেও পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তার অভিযান পরিচালনা করেন আমার দুইটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এটা আদালত অবমাননার করা হয়েছে। এ ব্যাপরে আমি মামলা করার সিন্ধান্ত নিয়েছি।
মেসার্স বেঙ্গল ব্রিকস কোম্পানী-২ এর মালিক সৈয়দ হোসেন কোম্পানী বলেন , আমি উচ্চ আদালত থেকে ইটভাটা পরিচালনার জন্য ছয় মাসের অনুমতি পেয়েছি। নিষেজ্ঞা থাকা সত্বেও পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করেন আমার ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
আদালতের রিট পিটিশন নং-১৫৮৯২/২০২৩ সূত্রে জানা যায়, ১৩ নভেম্বার হতে আগামী ছয় মাসেরর জন্য নিষেজ্ঞা দেন ফাতেমা নাজিব ও সিকদার মাহামুদুর রাজি আদালত।
চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন বলেন, ইটভাটার চিমনী ১২০ ফুট উচ্চতা, রাবার বাগান ঘেঁসে ইটভাটা স্থাপন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় চারটি অবৈধ ইটভাটা সর্ম্পূণ ভাবে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। জে.বি.এল নামের ইটভাটার মালিক মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে পাহাড় কাটার অভিযোগে তিন লাখ টাকা অর্থ দণ্ড দেয়া হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, অবৈধ ইটভাটায় অভিযান আমাদের নিয়মিত অংশ।