

রাউজান নিউজ ডেক্স :
রাউজানে ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় যুবদলের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন আরাফাত মামুন (৪৮) ও বিপ্লব বড়ুয়া (৩৫)। দুজনই উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের বাসিন্দা।
আজ বুধবার (৫ মার্চ) ভোরে রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের গরীবুল্লাহ পাড়া এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় রাউজান থানা পুলিশ। এই সময় তাদের কাছ একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশীয় বন্দুক ও ৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত যুবদল নেতা আরফাত মামুন রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গরীবুল্লাহ পাড়া আবু আহমেদের ছেলে। তিনি বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী বলে জানা গেছে। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের ব্রাহ্মণহাটে গোলাম আকবর খন্দকারের সমর্থনে যুবদল নেতার পরিচয়ে তার একটা তোরণ রয়েছে। তবে দলীয় সূত্রে জানা গেছে তার কোন দলীয় পদ পদবী নেই। গ্রেপ্তার তার সহযোগী বিপ্লব বড়ুয়ার (৩৫) বাড়ি উপজেলার পূর্বগুজরা ইউনিয়নের হোয়ারাপাড়া গ্রামে। তিনি ওই এলাকার তেজন্দ্র লাল বড়ুয়ার ছেলে। বর্তমানে তারা দুজনই রাউজান থানা হেফাজতে রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন ডিউটি অফিসার এএসআই জুয়েল চন্দ্র বিশ্বাস।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার আরাফাত মামুনের বিরুদ্ধে এলাকায় চাঁদাবাজি, দলের প্রতিপক্ষের নেতা-কর্মীদের ওপর গুলি-হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত ৭টি মামলা রয়েছে। এর আগে তাঁকে ধরতে যৌথ বাহিনী একাধিকবার অভিযানও পরিচালনা করেছে।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, আরাফাত মামুন বাড়িতে অবস্থান করছেন—গোপনে এই খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে এক সহযোগীসহ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে একটি পিস্তল ও একটি বন্দুকও উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুজনকে আদালতে সোপর্দ করার প্রস্তুতি চলছে।
গত ২৪ জানুয়ারি নোয়াপাড়া ইউনিয়নের নিরামিষপাড়ায় জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার পথে শুঁটকি ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ মামলায় মামুন ও তাঁর সহযোগীকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় দুজনের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে মামলা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
