

রাউজান: চট্টগ্রামের রাউজানে ভুট্টার বাম্পার ফলনে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ার ভুট্টা চাষে দিকে ঝুঁকছেন এই উপজেলার কৃষকরা। জমি থেকে ফসল ঘরে তুলতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকার কমবেশি ভুট্টা চাষ করেছে এখানকার কৃষকরা।
মাঠজুড়ে বিস্তীর্ণ ভুট্টাক্ষেত, সবুজপাতার মাঝে হলুদ রঙের ভুট্টার বাম্পার ফলনে কৃষকদের মুখে মুখে হাসি দেখা যাচ্ছে। সাধারণত ডিসম্বর মাস পর্যন্ত জমিতে ভুট্টার বীজ রোপন করা হয়। আর মে মাসের শুরু থেকে ভুট্টা ক্ষেত থেকে ফসল ঘরে তুলতে শুরু করেন কৃষক। উপজেলাজুড়ে ভুট্টার ফলন তোলা নিয়ে মাঠে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে রাউজান উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ২৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা আবাদ করা হয়েছে। মূলত অল্প পরিশ্রম ও খরচ কম হওয়ায় কৃষকরা এখন ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন।
কৃষক মো.শফি বলেন, আমি এই বছর প্রথম ভুট্টা চাষ করেছি ২ বিঘা জমিতে। ফলনও হয়েছে অনেক ভালো। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না পাওয়া ফলন ধরাতে আমাদের কিছুটা সমস্যা হয়েছে। যদি পানির ব্যবস্থার কোন উপায় থাকতো তাহলে জমিতে ফলন আরও বেশি ভালো হতো।
কৃষক জহির আহমেদ বলেন, আমি দুই বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। এই দুই বিঘা জমি আমার ২০হাজার টাকা মতো খরচ হয়েছে। এই পর্যন্ত প্রায় ১হাজার কেজি ভুট্টা পেয়েছি। তবে বৃষ্টি হলে আরও বেশি ফলন হতো।
উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার সুশীল জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলাজুড়ে প্রায় ২৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। গত বছর ছিল ২২ হেক্টর, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।
এছাড়া কৃষি অফিসের তথ্যমতে, ভালো ফলনের লক্ষ্যে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। এবার প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকায় ভুট্টার ফলন অনেক ভালো হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো.মাসুম কবির বলেন, রবি মৌসুমে অনেক জাগায় সেচের সমস্যার কারণে বোর ধানের চাষ করা হয় না। আমরা সেই কৃমিগুলোতে কৃষকদের ভুট্টা চাষ করার জন্য আগ্রহী করছি। রাউজানের কৃষকরা এখন ভুট্টা চাষের দিকে ঝুঁকছে। তিনি আশা করেন, ভুট্টা বাজারে বিক্রি করে লাভবান হবে এই উপজেলার কৃষকরা।
এবি/হামজা
