কামরুল ইসলাম বাবু – রাউজান নিউজঃ
রাউজানে মহাকবি নবীণ চন্দ্র সেন এর ১৭৭তম জন্ম বার্ষিকী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে ১০ ফেব্রুয়ারি সকালে নবীণ সেন স্মৃতি সংসদ সংগঠনের পক্ষে কবির ভাষ্কর্য্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শ্মশান প্রাঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত নবীণ সেন কমপ্লেক্সে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এখানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্মৃতি সংসদের সভাপতি পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লায়ন সাহাবুদ্দিন আরিফ। আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন আওয়ামী লীগ নেতা জামাল উদ্দিন, ইউপি সদস্য জগদীশ বড়ুয়া, অজিত বিশ্বাস, লোকমান হোসেন, রিটন দে, যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার ইসলাম, প্রবাস বড়ুয়া, আবদুল মান্নান সোহেল, জামাল উদ্দিন, জানে আলম, মোহাম্মদ দুলাল, মোহাম্মদ রফিক, তৈয়ব উদ্দিন, টনি বড়ুয়া, সাইফুল ইসলাম, উজ্জ্বল বড়ুয়া, আলম মেম্বার, হাফেজুর রহমান,আবু জাফর,প্রদীপ বড়ুয়া, শাহাদাত হোসেন, মোস্তাফিজ মেম্বার, আকবর আলী জয়, ছাত্রলীগ নেতা সাফায়াত হোসেন তৌহিদ, মাসুদ ইমতিয়াজ, মোহাম্মদ আজিজ, ফয়সাল মাহমুদ তৃষাদ, সালাউদ্দিন মানিক, শতজল বড়ুয়া প্রমুখ।
আরো পড়ুনঃ রাউজানে ৪দিনব্যাপী স্কাউটস সমাবেশ, কাব ক্যাম্পুরী ও গার্ল গাইডস সমাবেশের উদ্বোধন
উল্লেখ্য কবি নবীনচন্দ্র সেন ১৮৪৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার অন্তর্গত পশ্চিম গুজরার (নোয়াপাড়া) সুপ্রসিদ্ধ প্রাচীন জমিদার পরিবারে তাঁর জন্ম। তাঁর পিতার নাম গোপীমোহন রায় এবং মাতার নাম রাজরাজেশ্বরী।
আরো দেখুনঃ কোয়েপাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের বিদায় সংবর্ধনা
ইতিহাস থেকে জানাযায়, কবি নবীন চন্দ্র সেনের উদ্যোগে ১৮৭৫ সালে নোয়াখালী জেলার একটি মহকুমা হিসেবে ফেনীর যাত্রা শুরু হয়। পরে ১৮৮৪ সালে নবীন চন্দ্র সেন ফেনীর মহকুমা প্রশাসক হিসেবে ফেনীতে আসেন। তার প্রচেষ্টায় রাজাঝির দিঘী সংস্কার, ফেনী বাজার প্রতিষ্ঠা, এনট্রান্স স্কুল (ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়), ফেনীর উপর দিয়ে আসাম-বেঙ্গল রেলপথের নকশা প্রণয়ন করেন। তিনি দুই দফায় প্রায় আটবছর ফেনীতে ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এসময় তিনি অনন্য কর্মদক্ষতায় জঙ্গলাকীর্ণ ফেনীকে মনোরম শহরে পরিণত করেন।
নবীনচন্দ্রের মহাকাব্যের মধ্যে রয়েছে- পলাশির যুদ্ধ (১৮৭৫), রৈবতক (২রা ফেব্রুয়ারি ১৮৮৭), কুরুক্ষেত্র ( ১৮ই জুলাই ১৮৯৩), প্রভাস (১৮৯৭)।
One thought on “মহাকবি নবীণ চন্দ্র সেন এর ১৭৭তম জন্ম বার্ষিকী পালিত”
Comments are closed.