রাউজান নোয়াপাড়াতে চাষ হলো কালো রঙের ধানঃ ব্লাক রাইস কিংবা কালো ধান যাকে সুপার ফুড বলা হয়ে থাকে। আঠালো,বাদামের স্বাদযুক্ত ভীষণ পুষ্টিকর চালটিকে একসময় নিষিদ্ধ চাল বলা হতো। ইতিহাসের পাতা উলটে জানা যায় এক সময় চীনের সম্রাটদের জন্যই কেবল সংরক্ষিত ছিল এই চাল। সম্রাটদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু নিশ্চিত করতে এই চাল খাওয়ার নির্দেশ ছিল, এবং সেকারণে সাধারণ জনগণের জন্য এই চাল নিষিদ্ধ ছিল। এই কালো চালের জনপ্রিয়তা এতোটাই ছিল যে চালটিকে সম্রাটের চাল ও বলা হতো।
রাউজানের নোয়াপাড়ার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুহাম্মদ জাহেদ পেশায় একজন সিএনজি চালক হলেও শখের বসে এবছর কালো রঙের ধান চাষ করেছেন। জাহেদ রাউজান নিউজকে জানান তিনি এক জায়গায় বেড়াতে গিয়ে এই কালো ধানের চাষ দেখে মনস্থির করেন তিনিও এই ধানের চাষ করবেন। যার ফলে তিনি এই বছর মোট পাঁচ কানি ধানের চাষ করেন তার মধ্যে তিনি ২ কানি কালো ধান বা ব্লাক রাইসের চাষ করেছেন।
আরো পড়ুনঃ ওমরায় যাওয়ার পথে গাড়ি দুর্ঘটনায় মা-মেয়ে নিহত, আহত-৬
কালো চাল শরীরের প্রদাহ কমায় ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে। এতে থাকা ফাইবার হার্টকে সুস্থ রাখে। গবেষণায় জানা গেছে কালো চাল নিয়মিত খেলে সংবহন তন্ত্রে এথেরসক্লেরো টিক প্লাক তৈরিতে বাধা দেয়। ফলে শিরা ধমনীর ভিতরে ফ্যাট জমে না ও রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। এমনকি এই চাল ক্যান্সারও প্রতিরোধ করে। এই চালে প্রচুর বি- ভিটামিন থাকায় মানসিক চাপ কমায় ও স্নায়ুতন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
অন্যদিকে গবেষকরা বলছেন এ ধান থেকে পাওয়া চালে প্রচলিত অন্য চালের চেয়ে অন্তত তিনগুণ বেশি পুষ্টি থাকায় ধীরে ধীরে এটির চাহিদা বাড়ছে। স্থানীয় কৃষকরা বলেছেন কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগীতা পেলে তারা এই ধান চাষে আরো বেশি আগ্রহী হবেন।
আরো দেখুনঃ নোয়াপাড়ায় এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর পক্ষে উঠান বৈঠক
রাউজানের কৃষি অফিসার কৃষিবিধ মাসুম কবির জানান এই বছর রাউজানে আমন চাষ হয়েছে ১২ হাজার ১০ হেক্টর এবং বোরো ধানের চাষ হয়েছে ৪ হাজার ৮১০ হেক্টর।
One thought on “রাউজান নোয়াপাড়াতে চাষ হলো কালো রঙের ধান”
Comments are closed.