পাকিস্তানে ১৪৪ ধারা জারি,ক্ষমতা যেতে পারে সেনাবাহিনীর হাতে

Pioneer

পাকিস্তানে ১৪৪ ধারা জারি,ক্ষমতা যেতে পারে সেনাবাহিনীর হাতেঃ নির্বাচনের ফলাফল ইস্যুতে বিক্ষোভ-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ইমরান খান সমর্থকদের আটক করেছে পুলিশ। দেশের শাসনভার আবারো কি সেনাবাহিনীর হাতে যাচ্ছে? এমন আশঙ্কা অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

আরো পড়ুনঃ ফিলিস্তিনকে মুছে দিতে ইসরাইলের ভয়াবহ চক্রান্ত

রোববার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সের এক পোষ্টে ইসলামাবাদ পুলিশ বলছে কিছু মানুষ নির্বাচন কমিশন সহ অন্যান্য সরকারি অফিসের সামনে উস্কানিমূলক জমায়েত করছে। পরিষ্কারভাবে বলা হচ্ছে গণজামায়েতের জন্য উস্কানি দেওয়া এক ধরনের অপরাধ। রাষ্ট্রীয়ভাবে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে পুরো পাকিস্তানে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই। যদিও প্রথমে পিটিআই তাদের কর্মী সমর্থকদের বিভিন্ন শহরের জড়ো হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে দলটি শহরের বিভিন্ন জায়গায় জড়ো হওয়ার বদলে নির্বাচন কমিশন অফিস ঘেরাও করে রাখার কর্মসূচি দেয় তারা।

প্রতিদিন আন্তর্জাতিক সব খবর পেতে ভিজিট করুনঃ আন্তর্জাতিক খবর

গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের ভোট হয়েছে। ভোট গ্রহণের তিন দিন পর ২৬৫ আসনের মধ্যে অবশেষে ২৬৪ আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। একটি আসনে ভোট স্থগিত করা হয় আর অন্য একটি আসলে ফল স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। ফলে ২৬৪টি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। আলজাজিরা এর একটি প্রতিবেদন বলছে সবচেয়ে বেশি ৯৭ আসনে জয় পেয়েছে ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপরে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) ৭৬ আসনে। পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫৪ আসনে জয় পেয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ছোট দলগুলো পেয়েছে ৩৭টি আসন।

ভোটের ফল ঘোষণা শেষ হওয়ার পর পাকিস্তানের রাজনীতিতে চারটি ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যার মধ্যে রয়েছে পিপিপির বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি ও অন্যান্য ছোট দলগুলোর সঙ্গে জোট করে সরকারে আসতে পারে নওয়াজ শরিফ। দ্বিতীয়তঃ ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অন্য দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে ক্ষমতায় আসতে পারেন। এক্ষেত্রে তাদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এছাড়া জোট সরকারের প্রধান নিজ দল থেকে করার জন্য চাপ দিতে পারে পিপিপি কেননা পিপিপি ছাড়া অন্য কোন দল সরকার গঠন করতে পারবেনা।

ইতোমধ্যে পিপিপি নওয়াজ শরীফ এর কাছে প্রধানমন্ত্রীর পদ দাবি করেছে বলেও শোনা যাচ্ছে। এমনকি দেখা গেল দেন-দরবার করে কোন দলি জোট সরকার গঠন করতে পারল না। সেক্ষেত্রে দেশের শাসনভার শক্তিশালী সেনাবাহিনী গ্রহণ করতে পারে এমন ইতিহাস পাকিস্থানে রয়েছে। ফলে এমনটি যদি হয় তাহলে অবাক হওয়ার তেমন কিছুই থাকবে না। এদিকে ঘন্টায় ঘন্টায় জটিল হয়ে উঠছে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি রোববার দেশটির রাজধানী সহ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। এসব বিক্ষোভ থেকে ইমরান খান সমর্থকদের গ্রেফতার শুরু করেছে পুলিশ।

AL Sheraz