
ভাতিজার লাথিতে চাচার মৃত্যু: কক্সবাজারের চকরিয়ায় পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার লাথিতে এক চাচার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং অভিযুক্ত ভাতিজাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার সময় পুলিশের ভ্যান থামিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
বুধবার (আজ) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে উপজেলার কাকারা ইউনিয়ন এর সাকের মোহাম্মদ চর এলাকায় এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ কালু (৮০)। তিনি একই এলাকার মৃত মকবুল আলীর ছেলে। অভিযুক্ত ভাতিজার নাম আলী আহমদ (৬০)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক জায়গা-জমির মালিকানা নিয়ে মোহাম্মদ কালুর সঙ্গে তাঁর ভাতিজা আলী আহমদের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল।
চট্টগ্রামের খবর সবার আগে জানতে ভিজিট করুনঃ চট্টগ্রামের খবর
ঘটনা: আজ সকালে এই জমি নিয়ে দুজনের মধ্যে তীব্র তর্কাতর্কি শুরু হয়। একপর্যায়ে ভাতিজা আলী আহমদ তাঁর চাচা মোহাম্মদ কালুর বুকে সজোরে লাথি মারেন।
মৃত্যু: লাথি খেয়ে মোহাম্মদ কালু মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাঁকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। স্থানীয় লোকজন একত্রিত হয়ে অভিযুক্ত আলী আহমদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে এবং আলী আহমদকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেয়।
আরো পড়ুনঃ ফটিকছড়িতে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার: পারিবারিক কলহের জের?
নিহত মোহাম্মদ কালুর স্বজন ও স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের ভ্যান থামিয়ে দেয়। এ সময় তারা আলী আহমদকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করে (গণপিটুনি)। একই সময়ে অভিযুক্ত আলী আহমদের বাড়িঘরও ভাঙচুর করা হয় এবং তাঁর স্ত্রী পারভিন আকতারকেও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
নিহত মোহাম্মদ কালুর ছেলে সরোয়ার আলম বলেনঃ
"আমাদের সামনে বাবাকে বুকে লাথি মেরে হত্যা করা হয়েছে। এরপরে স্থানীয় বাসিন্দারা আলী আহমদকে গণপিটুনি দিয়েছেন। এ ঘটনার সঙ্গে আমাদের পরিবারের কেউ জড়িত নন।"
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত ব্যক্তির ভাতিজা আলী আহমদকে আটক করে থানায় আনার পথে পুলিশের ভ্যান আটকে তাঁকে মারধর করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, আহত আলী আহমদকে বর্তমানে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় হত্যা এবং পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
প্রধান সম্পাদকঃ মীর আসলাম, সম্পাদক ও প্রকাশকঃ কামরুল ইসলাম বাবু, নির্বাহী সম্পাদকঃ মোঃ ওসমান গনি