
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ নগরীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে এক জরুরি নির্দেশ জারি করেছেন। এই নির্দেশনায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র সাবমেশিনগান (এসএমজি) থেকে ‘ব্রাশফায়ার’ করার জন্য থানা ও টহল পুলিশ সদস্যদের প্রতি মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র ব্রাশফায়ার
মূল নির্দেশনাসমূহ:
- অস্ত্রের অগ্রাধিকার: মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে নিজস্ব বেতার বার্তার মাধ্যমে কমিশনার টহলরত ইউনিটগুলোকে তাদের অস্ত্রসজ্জায় পরিবর্তন আনার নির্দেশ দেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “শটগান হবে না, চায়না রাইফেলও বাদ, এখন এসএমজি ব্রাশফায়ার মুডে থাকবে।”
- বহনযোগ্য সরঞ্জাম বৃদ্ধি: যেকোনো ধরনের নাশকতা ও পরিস্থিতি মোকাবিলায় টহল টিমগুলোকে এসএমজি ছাড়াও শটগান, দুইটি গ্যাসগান, এবং টিম ইনচার্জের জন্য নাইন এমএম পিস্তল বহন করতে বলা হয়েছে।
- চেকপোস্ট সম্প্রসারণ: নগরীর নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য স্থায়ী চেকপোস্টের সংখ্যা ৭টি থেকে বাড়িয়ে ১৩টি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
- দায়িত্বভার গ্রহণ: সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ ব্যক্তিগতভাবে এই সিদ্ধান্তের সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করার কথাও বেতার বার্তায় জানিয়েছেন।
সিএমপির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে কমিশনার মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১টার মধ্যে কয়েক দফা পৃথক নির্দেশনায় এই উচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন।
আরো পড়ুনঃ রাউজানের ছেলে ইমরান উদ্দিন সিদ্দিকী নেপালের চুলু ফার ইস্ট পর্বতের চূড়ায়
কমিশনারের বক্তব্য:
এই নির্দেশনার বিষয়ে নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, “বাইরে থেকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা এসে নগরবাসীকে গুলি করে চলে যাবে, তা হতে পারে না। এজন্য সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র এসএমজি দিয়ে ব্রাশফায়ার করার নির্দেশ দিয়েছি।”
তিনি আরও স্পষ্ট করেন যে এই নির্দেশনা শুধুমাত্র সশস্ত্র অপরাধীদের জন্য প্রযোজ্য। তিনি বলেন, “দেখামাত্র ব্রাশফায়ার নিরস্ত্র জনসাধারণের জন্য নয়। যার হাতে অস্ত্র নেই, তার ওপর তো আর এসএমজি ইউজ করবো না।”
এই কঠোর পদক্ষেপটি মূলত নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা এবং সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের তৎপরতা তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্ক্রিয় করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।

